প্রচেষ্টা প্রকল্প: ঘােলা জলে মাছ। ধরার চেষ্টা করছে বিরােধী শিবির (ফর্ম বিক্রির অভিযােগ তুলল তৃণমূল)
কলকাতা: লকডাউনপর্বে কাজ হারানাে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের প্রকল্প ‘প্রচেষ্টা’কে ঘিরে ঘােলা জলে মাছ ধরার অভিযােগ উঠল। সরকারি ওয়েবসাইট থেকে প্রকল্পের ফর্ম ডাউনলােড ও প্রিন্ট করে জেরক্স আকারে বিক্রি হচ্ছিল বহু জায়গায়। অভিযােগ, তিন থেকে চার টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছিল ফর্মগুলি।
কয়েকটি এলাকায় অটো এবং রিকশ চালকদের কাছ থেকে লাইসেন্স এবং অন্য পরিচয়পত্র নিয়ে দক্ষিণার বিনিময়ে। প্রকল্প সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বিলি করা হচ্ছিল। লকডাউনপর্বের মধ্যেই বেশ কয়েকটি জায়গায় আবার দলে। দলে মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে জটিলতার সৃষ্টি করা হচ্ছিল। করােনা আতঙ্কের মাঝে সামাজিক দূরত্ব তাতে লঙ্ঘিত হয়ে সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর এই সমস্ত জটিলতার কারণেই, প্রচেষ্টা প্রকল্পের ফর্ম জমা নেওয়ার
প্রক্রিয়া সােমবারই বন্ধ করেছে রাজ্য সরকার। তবে মুখ্যমন্ত্রী " মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, এই প্রকল্প
চলবে। কিন্তু লকডাউন পর্বের সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি এবং - সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনলাইনে ফর্ম জমা নেওয়ার
পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর এই পরিকল্পনা ' রূপায়ণে কাজও শুরু করেছে। | কারা করছিল এহেন জলঘােলা? তণমলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র সভানেত্রী দোলা সেনের কথায়, “এই। বিপর্যয়ের মধ্যে যারা রাজনীতি করতে চায়, যারা চায় রাজ্য। সরকার অপদস্থ হােক, সেই সিপিএম, বিজেপি আর কংগ্রেসের
সম্মিলিত মঞ্চ জটিলতা সৃষ্টি করছে। ফর্ম বিক্রি করে কামাইয়ের ' রাস্তা বেছেছেন তাঁদেরই কয়েকজন। ইতিমধ্যেই রাজারহাট, ' নিউটাউন, টালিগঞ্জের নেতাজিনগর সহ বেশ কয়েকটি " জায়গায় এই নিয়ে পুলিসের কাছে অভিযােগও জানানাে হয়েছে। লিখিত অভিযােগও হয়েছে। সিটুর রাজ্য সম্পাদক
অনাদি সাহু এসব অভিযােগ অস্বীকার করে নবান্নের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন।। | লকডাউনপর্বে রােজগার হারানাে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারীদের দুরবস্থার কথা চিন্তা করে গত ২৪ মার্চ ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের ঘােষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবেন ওই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তরা। নবান্ন সূত্রে জানানাে হয়েছিল, সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলােড করে তা জমা
দিতে হবে স্থানীয় পুরসভা, বিডিও বা এসডিও অফিসে। ফর্ম। | জমা নেওয়া হবে ১৫ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু, মানবিক
দৃষ্টিভঙ্গিতে এই প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও, তা | নিয়েই রাজনীতির আসর গরম করতে নেমে পড়েন অনেকে। | আইএনটিটিইউসি’র সভানেত্রীর অভিযােগ, রাম-বামের | পান্ডাদের একটা অংশ ফর্ম ডাউনলােড এবং তা জেরক্স করে
বিক্রি করার অসাধু প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। এমনকী সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিধিকে বুড়াে আঙুল দেখিয়ে দলে দলে মানুষকে ফর্ম জমা দেওয়ার লাইনে দাঁড়াতে প্ররােচিত " করেছে। ফর্ম বিক্রি করার ভূরি ভূরি অভিযোেগ আসছে 7 রাজারহাট, নিউটাউন, সল্টলেক ও বাগুইআটির বিভিন্ন প্রান্ত
থেকে। জগৎপুর, সিদ্ধার্থনগর কলােনি, অর্জুনপুর এবং ন সল্টলেকের বেশ কয়েকজন সিপিএম এবং বিজেপি নেতাই কর্মী এই চক্রে যুক্ত বলে তাঁর অভিযােগ।
তাঁর কথায়, এই বিভ্রাট, জটিলতা এবং প্রতারণার হাত, এ থেকে শ্রমিকদের বাঁচাতে তাই এবার প্রচেষ্টা প্রকল্পের পরিষেবা ব অনলাইনের মাধ্যমে পৌছে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই ১ বিষয়ে সিটুর রাজ্য সম্পাদক বলেন, অসংগঠিত ক্ষেত্রের
শ্রমিক-কর্মচারীদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ইচ্ছেই নেই ন সরকারের। মূল বিষয় থেকে নজর ঘােরাতেই তাই নানা মিথ্যা = অভিযােগ সামনে আনা হচ্ছে, শ্রমিকরা সেটা বুঝেছেন।
Nice post
ReplyDelete