৬০ হাজার স্বনির্ভর গােষ্ঠীকে সহজ শর্তে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ, উদ্যোগী বাংলা
কলকাতা :
রাজ্যের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মহিলাদের আয়। বাড়ানাের উপর জোর দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সহজ শর্তে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবে পুর-শহরাঞ্চলের মহিলা স্বনির্ভর গােষ্ঠীগুলি৷ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি গােষ্ঠীই এই আর্থিক সহায়তা পাওয়ার যােগ্য। ইতিমধ্যেই ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গিয়েছে বলে নগরােন্নয়ন দপ্তর সূত্রে খবর। | লকডাউনে ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি। সেইঝড়সামলে ধীরে ধীরে রাজ্যের কোষাগারকে চাঙ্গাকরতে উদ্যোগীহয়েছেনমুখ্যমন্ত্রী। তার পাশাপাশি এবার মহিলাদের আর্থিক উন্নয়নে নজর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট আরবানলাইভলিহুড মিশনের (ডব্লুবিএসইউএলএম) অধীনে স্বনির্ভর গােষ্ঠীগুলির জন্য আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য। অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ মনে করেন, লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে
মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানাে অত্যন্ত জরুরি। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার মানুষের হাতে সরাসরি নগদ তুলে দেওয়ার পক্ষেও জোরালাে সওয়াল করেছেন। সরকার সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে, মহিলারা আয়ের বড় অংশ খরচ করেন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে। পরের পর্যায়ে তাঁদের নজর থাকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও পােশাকআশাকে৷ স্বনির্ভর গােষ্ঠীর মহিলারা উৎপাদনমুখী কাজ করলে তাঁদের আয় বাড়বে। অর্থাৎ বাড়বে ক্রয় ক্ষমতা৷ সেই টাকা পণ্য কেনাকাটায় ব্যবহার হলে অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি ফিরে আসায় সহায়ক হবে। | শুধু পুর-শহরাঞ্চলে নয়, গ্রামীণ অর্থনীতিকে মূল স্রোতে ফেরাতে মহিলা স্বনির্ভর গােষ্ঠীগুলিকেও বিভিন্নভাবে সহযােগিতা করছে রাজ্য। পঞ্চায়েত এলাকায় ‘আনন্দধারা’ নামে প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গােষ্ঠীগুলির পাশে দাঁড়ায় রাজ্য। সেই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। গােষ্ঠীগুলির উৎপাদিত পণ্য বিপণনেও সাহায্য করে মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।। রাজ্যে মােট ১২৫টি পুরসভা ও ছ’টি কর্পোরেশন
আছে। এইসবপুর-শহরাঞ্চলে ডব্লুবিএসইউএলএম প্রকল্পে মহিলাস্বনির্ভর গােষ্ঠীগুলিকে আর্থিকমদত দেয় সরকার। রাজ্যের তথ্য বলছে, সব মিলিয়ে পুরশহরাঞ্চলে ৬০ হাজারের মতাে স্বনির্ভর গােষ্ঠী রয়েছে। যারা হাঁস-মুরগি কিংবা ছাগল পালন, হস্তশিল্প ও ক্ষুদ্রশিল্পে উৎপাদনমুখী কাজ করে। ইদানীং কেভিডের মােকাবিলায় মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিই কিটও বানাচ্ছে কোনও কোনও স্বনির্ভর গােষ্ঠী। বহু ক্ষেত্রে গােষ্ঠীগুলির উৎপাদিত পণ্য ক্রয় করে রাজ্য। খােলা বাজারেও বিক্রি হয়। কিন্তু লকডাউন পর্বে সেই কাজের | শৃঙ্খল ভেঙে পড়েছে। এবার ‘ডব্লবিএসইউএলএম ৪ প্রকল্পে গতি আনতে উঠেপড়ে লেগেছে পুর ও 5 নগরােন্নয়ন দপ্তর। শুক্রবার দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৬০ হাজার স্বনির্ভর গােষ্ঠীকেইসহজশর্তে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ বার্ষিক সুদ্রের হার মাত্র ৭ শতাংশ। প্রথম কিস্তিতে দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। সেই টাকা পরিশােধ করার পর দ্বিতীয়। কিস্তির টাকা মিলবে। এভাবে ধাপে ধাপে এক একটি ন স্বনির্ভর গােষ্ঠী ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবে।