সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খােলার প্রস্তাবে রাজি নয় বহু রাজ্যই
*অনলাইন পড়াশােনায় অভ্যস্ত হতেই পরামর্শ কেন্দ্রের*
নয়াদিল্লি :
সেপ্টেম্বর মাস থেকে স্কুল খোলার কথা ভাবা হলেও কেন্দ্রের প্রস্তাবে বেশিরভাগ রাজ্যই গররাজি। তাই অনলাইনে পড়াশােনায় অভ্যস্ত হতেই পরামর্শ দিচ্ছে মােদি সরকার। কিন্তু সেখানেও সমস্যা কম নয়। সমতল থেকে পাহাড়, সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে জঙ্গল, ভারতের বৈচিত্রপূর্ণ মানচিত্রে সর্বত্র ইন্টারনেট ব্যবস্থা মােটেই মসৃণ নয়। অথচ অনলাইনে পড়তে ও পড়াতে সবার আগে সেটিই জরুরি। ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে তৈরি সরকারি রিপোর্ট বলছে, ২৮ শতাংশ ভুগছেন ইন্টারনেট এবং বিদ্যুৎ সংযােগ ব্যবস্থার অভাবে! ২৭ শতাংশ। - ছাত্র ছাত্রী জানিয়েছে, তাদের কোনও স্মার্টফোন বা ল্যাপটপই নেই। তাহলে? | জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে শুরু করে | আরটিই (শিক্ষার অধিকার আইন, সকলের জন্য পড়াশােনার কথা বলা হলেও করােনা ও লকডউই পরিস্থিতিতে সঠিকভাবে তা সম্ভব হচ্ছে দেখে চিন্তায় শিক্ষামন্ত্রক।
তাই স্কুলগুলিকে যেমন ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকের সঙ্গে পেরেন্ট টিচার মিটিংয়ের মাধ্যমে মতামত আদানপ্রদান করতে বলা হয়েছে, একইভাবে রাজ্যগুলির সঙ্গেও কথা বলছে কেন্দ্র। কেবল ইন্টারনেট সমস্যাই নয়।শিক্ষামন্ত্রকের ডিপার্টমেন্ট অব স্কুল। এডুকেশন অ্যান্ড লিটারেসি’র উদ্যোগে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) সমীক্ষা করে যা রিপাের্ট দিয়েছে, তাতে অনলাইন লেখাপড়ার ক্ষেত্রে সমস্যাই বেশি। স্টুডেন্টস লানিং এনহ্যান্সমেন্ট | গাইডলাইনস” নামে ওই রিপাের্ট
বলছে, সিবিএসই অনুমােদিত স্কুলগুলিতে অনলাইনে বাড়িতে বসে ৪৫ ২ শতাংশ পড়য়ার তঙ্কে বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে। কেবল পয়ারাই নয়। স্কুল প্রিন্সিপালদেরও ৭৮.১ শতাংশ জানিয়েছে অনলাইনে অঙ্ক বােঝাতে এমনকী শিক্ষকের অনলাইন ব্যবস্থার আচমকা লকভাউন হয়ে যাওয়ার এ ব্যাপারে ওরিয়েন্টেশনও হয়নি। এবং সবার উপর রয়েছে নোট ও আটযেগন | না থাকার সমস্যা। তাই সাবিক সমীক্ষায় ৩০ থেকে ৭০ শত |
অনলাইন পড়াশােনাকে অনায়ক এবং সন্তোষ জনক জানালেও ২০ থেকে ৩০ শতাংশ জানিয়েছে এই ব্যবস্থা সমনবহুল। ১০ থেকে ২০ শতাংশের কাছে এভাবে পড়াশোনা | আদতে বােঝা। এই পরিস্থিতিতে চলতি শিক্ষাবর্ষকে ‘জিরো ইয়ার’ ঘােষণা না করেও কী করে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষিত করা যায়, তাই হাতড়ে বেড়াচ্ছে কেন্দ্র।
অনলাইন পড়াশােনাকে অনায়ক এবং সন্তোষ জনক জানালেও ২০ থেকে ৩০ শতাংশ জানিয়েছে এই ব্যবস্থা সমনবহুল। ১০ থেকে ২০ শতাংশের কাছে এভাবে পড়াশোনা | আদতে বােঝা। এই পরিস্থিতিতে চলতি শিক্ষাবর্ষকে ‘জিরো ইয়ার’ ঘােষণা না করেও কী করে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষিত করা যায়, তাই হাতড়ে বেড়াচ্ছে কেন্দ্র।