গান্ধীজির চশমা, দাম উঠল আড়াই কোটিরও বেশি
লন্ডন:
নির্ধারিত দিনক্ষণ মেনেই নিলামে উঠল মহাত্মা গান্ধীর ব্যবহৃতং চশমা। দর হাঁকাহাঁকির পর শেষমেশ ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম দাঁড়াল প্রায় ২ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। ক্রেতার নাম ইষ্ট ব্রিস্টলের নিলাম কর্তৃপক্ষের তরফে গােপন রাখা হয়েছে। যদিও নিলামদার অ্যান্ডি স্টো জানিয়েছেন, গান্ধীর স্মৃতিবিজড়িত চশমার নতুন মালিক একজন মার্কিন নাগরিক। আর যাঁর। হাত ঘুরে ‘আইকনিক’ ওই বস্তুটি - অ্যান্ডির কাছে পৌঁছেছিল, তিনি।দক্ষিণ-পশ্চিমা ইংল্যান্ডের ম্যাঙ্গোটসফিল্ডের এক বৃদ্ধ বাসিন্দা। গুরুত্ব না বঝেই নিলামকেন্দ্রের লেটার - বক্সে চশমাটি রেখে যান তিনি।
এখন নিলামের বিপুল পরিমাণ অর্থ শুনে। তাঁর চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। | যদিও এবছর করােনার জেরে বাধ্য হয়েই ভার্চুয়াল নিলামের আয়ােজন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যেখানে মাত্র ছমিনিটেই চশমাটি বুক করে ফেলেন। মার্কিন ভদ্রলােক। অ্যান্ডি জানিয়েছেন,তাঁদের সংস্থার ইতিহাসে এই নিলাম। আর্থিক দিক দিয়ে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। সেইসঙ্গে স্বীকার করেছেন, লেটার বক্সে পড়ে থাকা চশমাটি যখন নাটকীয় পরিস্থিতিতে তাঁর হাতে এসেছিল, তখন তিনি ভেবেছিলেন এর দাম মেরেকেটে ১৪ লক্ষের আশপাশে উঠতে পারে।
কিন্তু যাবতীয় অনুমান ছাপিয়ে বিক্রির দর যে আকাশছোঁয়া হতে চলেছে, সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি অ্যান্ডি। নিলাম পর্ব শেষ হতেই উচ্ছাস চেপে রেখে তিনি জানিয়েছেন, ‘আশ্চর্য সামগ্রীর জন্য এক আশ্চর্য ফলাফল। যাঁরা নিলামে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। কিন্তু ব্রিটিশ পরিবারের কাছে। ঠিক কীভাবে এসে - পৌছল গান্ধীজির ব্যবহৃত ওই চশমা? নিলামের ঝক্কিঝামেলা মেটার পর এর জবাব দিয়েছেন অ্যান্ডি।
তিনি জানিয়েছেন, খুব জরুরি না হলে ব্যবহারের অনেক জিনিসই পরিচিতদের উপহার দেওয়ার অভ্যাস ছিল গান্ধীজির। ঘটনাচক্রে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এসেছিলেন তিনি। সেই সময় ম্যাঙ্গোটসফিল্ডের ওই ভদ্রলােকের। কাকা কাজের সূত্রে সেখানে ছিলেন। সেখানেই গান্ধীজির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। অল্প দিনেই দুজনের মধ্যে | বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদেই তাঁকে নিজের ব্যবহারের চশমাটি উপহার দেন গান্ধীজি। এরপর ওই ভদ্রলােক বংশ পরম্পরায় সেটি নিজের জিম্মায় পান। যদিও সােনালি চশমার আসল তাৎপর্য এতদিন তাঁর অজানাই ছিল। নিলামের ঘটনায় তা তিনি বিলক্ষণ উপলব্ধি করেছেন।